Post Thumbnail

আরেকটি এক-এগারোর মঞ্চ প্রস্তুত?


অদিতি করিম: গণতন্ত্রের ট্রেন যেন সংস্কারের জটে আটকে গেছে। নতুন নির্বাচনের আকাশে কালো মেঘ ঘন হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দূরত্ব বাড়ছে ক্রমশঃ। সাথে বাড়ছে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস। দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রীতিমতো নাকানী চুবানী খাচ্ছে। কোথাও শান্তি নেই, নেই স্বস্তি। সব কিছু মিলিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে। কী হতে যাচ্ছে—সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নির্বাচনের সম্ভাব্য একটি সময়সীমা ঘোষণা করলেন। আগামী দেড় বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৬ সালের প্রথমার্ধ্বের মধ্যে একটি নতুন নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। পরদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের ব্যাখ্যায় তার প্রেস সচিব বলেন ২০২৬ এর ৩০ জুনের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। প্রশ্ন হলো নির্বাচন আয়োজনে এতো সময় লাগবে কেন? নাকি পর্দার আড়ালে অন্য কোন খেলা শুরু হয়েছে? প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায়, বিএনপি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে। অন্যদিকে সরকার ও শিক্ষার্থীদের সমর্থন পুষ্ট ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ বলেছে, শেখ হাসিনার বিচার শেষ হবার আগে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তাহলে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হবে নাকি এ নিয়ে নতুন করে শুরু হবে সংঘাত? রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে উপদেষ্টাদের কারও কারও নেতিবাচক মন্তব্য এখন বেড়েই চলেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘রোডম্যাপ ঘোষণার কথা বললেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ভাব ফুটে ওঠে, সেটি গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী ‘ উপদেষ্টাদের অনেকে নির্বাচন চান না, তারা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চান—রাজনীতির মাঠে এমন গুঞ্জন বাড়ছে। বাংলাদেশ কি তাহলে আরেকটি এক-এগারো আসছে? আরেকটি এক-এগারোর মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে সবার অগোচরে?

২০০৭ সালে এক অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে সেনা সমর্থিত এক-এগারো সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ওই সরকারের প্রধান কাজ ছিল দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর এক-এগারো সরকার সুশীল এজেন্ডা বাস্তবায়নে মনোযোগী হন। মাইনাস টু ফর্মুলার মাধ্যমে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অধিকার হরণের উন্মত্ততায় মেতে ওঠে। ‘কিংস পার্টি’ গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। যার ফলে সাধারণ মানুষ সেই সময় এক-এগারো সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। তাদের ‘মাইনাস ফর্মুলা’ শেষ পর্যন্ত জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। পরাজিত সুশীলরা কী একই রকম নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে?

২০০৭ সালে এক-এগারো সরকারের অন্যতম কুশীলব ছিল প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নিয়ন্ত্রিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারাই বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী একটি সুশীল রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিলেন। এখন ২০২৪ সালে এসে আবার সেই একই চিত্র। বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ আবার বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া এবং মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেগম জিয়া, তারেক জিয়া সহ একাধিক বিএনপির শীর্ষ নেতা এখনও মামলার জালে বন্দী। রাজনীতিবীদদের অযোগ্য প্রমাণের নানা কসরত আবার দৃশ্যমান।

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের প্রধান লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি তামাশায় পরিণত করেছিল। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে নির্বাচন, ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’, আর ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচনের’ মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করা হয়েছিল। যে তরুণ প্রজন্ম জুলাই বিপ্লবে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, তারা বাংলাদেশে কোনও নির্বাচনই দেখেনি, ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোট দেয়ার অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল জুলাই বিপ্লবের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই যেন আমরা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন যতো পেছাবে গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ততোই দূরূহ হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক দলগুলো বিগত সরকারের জঞ্জাল আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটি নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক সময় দেয়ার পক্ষে। তারা ধৈর্য এবং সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত। বিশেষ করে বিএনপি যে রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু এই সহনশীলাতকে সরকারের কেউ কেউ দুর্বলতা মনে করছে। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভক্তি বাড়ছে, বাড়ছে উত্তাপ। সরকারের প্রথম আলো, ডেইলি স্টার মনোনীত উপদেষ্টাদের মধ্যে রাজনীতি বিরোধী অবস্থান এখন প্রকাশ্য। রাজনীতিবিদদের তিরস্কার করা, রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করার সেই পুরোনো রোগ সুশীলদের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ফলে নতুন করে মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নের শংঙ্কা জোরালো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য অনেকগুলো কমিটি গঠন করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব সংস্কারের ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কে দিয়েছে? একটি জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই ধরনের সংস্কার করা আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে? সেই সংস্কার শেষ পর্যন্ত কি টিকবে? নাকি এই সমস্ত সংস্কারের আড়ালে ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদে আঁকড়ে রাখার কোনও পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কারো কারো রয়েছে? যদি এ ধরনের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের থাকে তাহলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

কয়েকজন উপদেষ্টা ইদানিং বক্তব্য দিচ্ছেন তা এক এগারোর বিরাজনীতিকরণ ফর্মুলারই নতুন সংস্করণ। একজন উপদেষ্টা বলেছেন, ৫৩ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার করতে পারল না কেন? আরেকজন উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করছে। এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ঐক্যের বাংলাদেশে আজ বিভক্তির কালো ছায়া।

এই সরকারের দায়িত্ব খুব পরিষ্কার। প্রাথমিকভাবে জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। নির্বাচন করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জনগণের ম্যান্ডেট এর ভিত্তিতে যে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে সংস্কার করা দরকার সেই সব সংস্কারগুলো করবে। কিন্তু এই কাজটিকে কেউ কেউ জটিল কঠিন করে তুলছে কেন—সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলাদেশের জনগণ শেষ পর্যন্ত তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য প্রয়োজন একটি নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত এই নির্বাচন দেবে তত দেশের মঙ্গল।

এ কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে সকল রাজনৈতিক দলের বিপুল সমর্থনে। রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতার চাবি তুলে দিয়েছে এই প্রত্যাশা থেকে তারা নির্মোহ ভাবে, পক্ষপাতহীন প্রক্রিয়ায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে এই সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রায় অবজ্ঞা করছে। অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। যেমন ধরা যাক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ভাবে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যদের নিয়োগ করছে সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নূন্যতম পরামর্শ করা হয়নি। উপদেষ্টামণ্ডলীতে বিতর্কিত সদস্যদের নেয়া হয়েছে। জন আকাঙ্খার বিরুদ্ধে ব্যক্তিদেরকে উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে তো পারছেই না, বরং জীবন যাত্রা ক্রমশঃ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এক-এগারোর সময় সুশীলদের ইচ্ছা পূরণের বলী হয়েছিল জনগণ। জিনিসপত্রের দাম চলে গিয়েছিল মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল- এখন সেরকমই অস্থির পরিস্থিতির মুখোমুখি বাংলাদেশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে মানুষ ক্রমশঃ সরকারের উপর আস্থা হারাচ্ছে। ২০০৭ সালের এক-এগারোর সরকারের একটা বড় বৈশিষ্ট্য ছিলো উন্নয়ন বিরোধী তৎপরতা। তথাকথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে অর্থনীতিকে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছিল সুশীল সরকার। বেসরকারী খাতের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল। বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে হয়রানি করা শুরু হয়েছিল সেই সময়। শিল্প উদ্যোক্তাদের গ্রেপ্তার, হয়রানির মাধ্যমে গলা টিপে ধরা হয়েছিল দেশের অর্থনীতির। এখন সেই পুরোনো খেলাই যেন নতুন করে শুরু হয়েছে। আবারও দেখা যাচ্ছে সেই অর্থনীতি বিনাশী তৎপরতা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্নীতি দমনের নামে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে রীতিমতো অভিযানে নেমেছে। বিভিন্ন শিল্প পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে হয়রানি শুরু হয়েছে। এটা কোন ভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হতে পারে না। এধরনের উন্নয়ন বিরোধী তৎপরতার ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে এসেছে ভয়াবহ স্থবিরতা। এই স্থবিরতা যদি অবিলম্বে দূর না করা যায় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে ছন্দপতন ঘটেছে। এটাও ২০০৭ সালের এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি। ঐ সময় সুশীলদের পরামর্শে ব্যবসায়ীদের উপর এভাবেই চাপ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর ফল শুভ হয়নি।

এক-এগারোতে যেমন ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি ‘কিংস পার্টি’ গড়ে তোলার চেষ্টা করে, এবারও সেই একই রকম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে সংগঠন গোছানো হচ্ছে। ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ আসলে কার পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করছে সে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। এই নাগরিক কমিটিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। তাদের খবরগুলো বিরাজনীতিকরণ তত্ত্বে বিশ্বাসী এ দুটি পত্রিকা প্রচার করছে ফলাও করে। নির্বাচন পিছিয়ে দল গোছানোর চেষ্টা করছে ‘জাতীয় নাগরি কমিটি’। জাতীয় নাগরিক কমিটিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই কী নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে? ছাত্র সমাজ আন্দোলন করেছিল একটি গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার জন্য, সেখানে নির্বাচনের সময় ক্ষেপন কোনও ভাবেই কাঙ্খিত নয়। এক-এগারোর মতো করে যদি বাংলাদেশে আবার সুশীলরা বিরাজনীতিকরণ করতে চায়, শিল্প কারখানা, ব্যাবসা বাণিজ্য অচল করে অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী রাখতে চায় তাহলে এদেশের মানুষ তা গ্রহণ করবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যেভাবে চারিদিকে জাল বিস্তার করা হয়েছে তাতে অনেকের মনে হতে পারে যে, আরেকটি এক এগারোর মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে। গণতন্ত্রের স্বপ্নকে গ্রাস করছে নতুন এক-এগারোর ষড়যন্ত্র।

অদিতি করিম, নাট্যকার ও লেখক
ইমেইল: auditekarim@gmail.com


Comments

Leave a Comment


Related Articles