আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে?
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ এখন নির্জীব, ক্ষত-বিক্ষত, বিধ্বস্ত। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর যেমন একটি বিধ্বস্ত মৃত পরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে, ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা। দলটি প্রায় অস্তিত্ববিহীন। দলের হাল ধরার মতো কোন নেতা নেই। যাঁরা দেশে আছেন তাঁরা সবাই পালিয়ে অথবা জেলে। আর যাঁরা বিদেশে আছেন তাঁরা এখন আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছেই ভিলেনে পরিণত হয়েছেন। এরকম অবস্থায় ক্ষমতাচ্যুতির তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর গত ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ একটি কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই বলা হচ্ছে, এই কর্মসূচি ছিল হঠকারী, ছেলেমানুষি এবং অপরিপক্কতায় ভরপুর। আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যতে দেয়ার আগে চিন্তাভাবনা করারও পরামর্শ দিয়েছেন। এই ধরনের কর্মসূচির ফলে এমনিতেই চাপে থাকা কর্মীরা আরও বড় ধরনের চাপে পড়েছে। তাঁদের জীবন আরও বিপন্ন হয়ে উঠেছে। এ রকম পরিস্থিতি থেকে আওয়ামী লীগের উত্তরণের পথ কী? আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে?
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরও আওয়ামী লীগ এত বড় সঙ্কটে পড়েনি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। যাঁরা সংগঠনকে আবার পুনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু এখন ক্ষমতাচ্যুতির একশ দিনের মধ্যেও সে রকম তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, শ্রদ্ধাভাজন, আস্থাভাজন নেতৃত্বেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী লীগ কী আগামী নির্বাচন করতে পারবে? সেই নির্বাচন কীভাবে করবে? সেটি নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলাপ আলোচনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে সহস্রাধিক মামলা। যার অধিকাংশই হত্যা মামলা। এই সমস্ত মামলা এড়িয়ে আওয়ামী লীগ নতুন জন্মলাভ করবে কীভাবে?- সেটি রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যদিও আওয়ামী লীগের ইতিহাস সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা জানেন যে আওয়ামী লীগ একটা ফিনিক্স পাখির মতো। বিপর্যস্ত হয়ে জ্বলে পুড়ে ছারখার হওয়ার পরও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ায়। অতীতের ইতিহাস তাই বলে। কিন্তু অতীতের ইতিহাস আর এবারের বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে এই সব প্রতিকূলতার পরও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের কতগুলো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কতগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হবে। অনেকে মনে করেন, আওয়ামী লীগকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে সুনির্দিষ্ট কিছু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। যেমন-
১. আয়নায় মুখ দেখা: আওয়ামী লীগকে প্রথমে আত্ম উপলব্ধি করতে হবে। আত্ম সমালোচনা করতে হবে। আয়নায় নিজেদের মুখ দেখতে হবে। গত ১৫ বছরে তাঁরা যে খারাপ কাজগুলো করছিল, দলের ভেতর থেকে যে সমস্ত প্রভাবশালী নেতারা বিভিন্ন রকম দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে জড়িত ছিল সেই সমস্ত অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার জন্য তাঁদের দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। অন্তত ‘স্যরি’ বলতে হবে জাতির কাছে। কারণ এখন সকলেই জানে আওয়ামী লীগের ভেতর কারা হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন, বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এই সমস্ত ব্যক্তিরা এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছেন।
২. নেতৃত্বে পরিবর্তন: আওয়ামী লীগের গত তিন মাসের সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে স্পষ্টই লক্ষ্য লক্ষ্য করা যায় যে, অনুপ্রবেশকারী সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজ দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে গিয়েছিল। এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্তরা ৫ আগস্টের পর পালিয়ে গেছে। বিদেশে আরাম আয়েশে জীবনযাপন করছেন। এদের গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ মানুষের কাছে তো নেই, দলের কর্মীদের কাছেও নেই। আর এই কারণেই সমস্ত পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত নেতৃত্বকে দ্রুত বাদ দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এখন পর্যন্ত কীভাবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন সেটি যেমন দলের নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন, তেমনি দলের শীর্ষ অনেক দুর্নীতিবাজ নেতাদের দিকেও কর্মীরা আঙুল তুলছেন। তাঁরা বলছেন যে, এই সমস্ত নেতাদের দিয়ে আর যাই হোক, আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন সম্ভব হবে না। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাঁকে যে সমস্ত বিতর্কিত ব্যক্তিরা দলের ভেতর আছেন তাঁদেরকে বাদ দিয়ে স্বচ্ছ ইমেজের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত ব্যক্তিদেরকে টেনে সামনে আনতে হবে। এ কথা অস্বীকার করার কোন কারণ নেই যে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তিনিই আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক। কাজেই তাঁর নেতৃত্বে দলের পুনর্গঠন করতে হবে সবার আগে। সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদ গুলোতে যারা বিতর্কিত আছেন তাঁদেরকে বাদ দেয়া এখন সময়ের দাবি। আওয়ামী লীগ যত দ্রুত এই কাজটি করবে তত তৃণমূলের কর্মীরা উৎসাহিত হবে। তাঁরা নতুন করে লড়াই করার প্রস্তুতি নেবে।
৩. নির্যাতিত নিপীড়িত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। অথচ এখন দলের যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা মামলায় বিপর্যস্ত, ঘরছাড়া, অনেকেই দুবেলা খেতে পারছেন না। পালিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন এই সমস্ত কর্মীরা। বিদেশে যে সমস্ত নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে এখন আরাম আয়েশে থাকেন, তাঁরা শুধু প্রেস রিলিজ এবং নানারকম নির্দেশনা দিয়েই ক্ষান্ত। বৈষয়িক কোনো সাহায্য কর্মীদের করছেন না। কর্মীরা বাঁচবে কীভাবে? আর এ কারণেই অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে একটা সহায়তা টিম বা রেসকিউ টিম তৈরি করতে হবে, যে টিম নির্যাতিত কর্মীদের খবর নেবে, তাঁদের পাশে দাঁড়াবে। পাশাপাশি অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি লিগ্যাল টিম তৈরি করা দরকার। আওয়ামী লীগের যে সমস্ত আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট এবং নিম্ন আদালতে এতদিন ধরে রীতিমতো দাপট দেখিয়েছেন, তাঁরা এখন কেন বাঘ থেকে বিড়ালে পরিণত হলেন? ১৫ বছর নানা রকম সুযোগ সুবিধা নেয়া এসব আইনজীবীদের এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ কারণেই সমস্ত আইনজীবীদের বদলে আওয়ামী লীগে যাঁরা তরুণ মেধাবী আইনজীবী আছেন তাঁদের নেতৃত্বে অবিলম্বে একটি আইনি সহায়তা টিম তৈরি করতে হবে। কারণ বহু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এখন জেলে। তাঁরা ন্যূনতম মানবিক অধিকার পাচ্ছে না। এই বিষয়টি দ্রুত করতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশে না দাঁড়ায় এবং আইনি সহায়তা না দেয় তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য ঘুরে দাঁড়ানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
৪. মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে একত্রিত: আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে অহংকার এবং আত্মম্ভরিতায় ভরপুর হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কাউকে মানুষ মনে করত না। কথায় কথায় মানুষকে অপমান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, ছোট করার এক ভয়ঙ্কর ব্যাধি আওয়ামী লীগকে গ্রাস করেছিল। আর এ কারণেই মুষ্টিমেয় কিছু চাটুকার এবং সুবিধাবাদী ছাড়া সকলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। আওয়ামী লীগ সকল ক্ষেত্রে রীতিমতো বন্ধুহীন হয়ে পড়েছিল। আর এই কারণেই সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে পেশাজীবী সহ সর্বস্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরাও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। যেটি ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের পতনের একটি বড় কারণ। এ কারণে আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সকল পেশাজীবী শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাঁদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। জাতীয় সঙ্কটে তাঁরা যেন একাত্ম হয়ে একসাথে হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারের কাজ করে, সেই আহ্বান জানাতে হবে। আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের পেশাজীবীদেরকে এক ছাতার নীচে আনতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। অতীতে লক্ষ্য করা গেছে সব সঙ্কটে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছে পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে এই অমূল্য সম্পদটিকে হেলায় নষ্ট করেছে। এই সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
৫. আন্তর্জাতিক বলয়ে ভাবমূর্তি তৈরি করতে হবে: গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ একটি কোটারী আন্তর্জাতিক বলয় তৈরি করেছিল। একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক করে অন্য দেশগুলোকে করেছিল বিরাগভাজন। আর এ কারণেই পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সুস্পষ্ট দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে আওয়ামী লীগকে নতুন কূটনৈতিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। ঠিক যেমন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেছিল। নতুন কূটনৈতিক কৌশলের আলোকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী আছে তাঁদেরকে সক্রিয় করে আন্তর্জাতিক বলয়ে প্রকৃত পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরতে হবে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর যে নেতিবাচক ইমেজ তা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা হল যে আওয়ামী লীগকে ধৈর্য ধরতে হবে, অপেক্ষা করতে হবে। আগামীকাল সমাবেশ করে সরকার হটিয়ে দেওয়া হবে কিংবা ভারত এসে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, ট্রাম্প জয়ী হয়েছে কাজেই আর ড. ইউনূস থাকবে না- এ ধরনের ছেলেমানুষি সান্ত্বনা গুলো ভুলে যেতে হবে। কঠিন বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করতে হবে। আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রথম ধাপ হবে সংগঠন গোছানো। দ্বিতীয় ধাপ হবে আগামী নির্বাচনের জন্য তাঁদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। সর্বশেষ ধাপ হল অতীতের ভুল ত্রুটিগুলো থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করা। জনগণের কাছে ভুল ত্রুটিগুলোর জন্য ক্ষমা চাওয়া। একদিকে যেমন আওয়ামী লীগকে তাঁর ১৫ বছরের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রার গল্প বলতে হবে, তেমনি দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়নের জন্য তাঁদের লজ্জিত হতে হবে। রাজনীতিতে দুঃখপ্রকাশ, ক্ষমা প্রার্থনা কোন নতুন কিছু নয়। এতে কোন রাজনৈতিক দল ছোট হয় না। বরং তাঁদের মহত্ত্ব প্রকাশ পায়। আওয়ামী লীগকে আসলে তাঁর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এখন একটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রশ্ন হল সেই পথ পাড়ি দিতে আওয়ামী লীগ কতটা প্রস্তুত? নাকি আওয়ামী লীগ চটজলদি কোন কিছু পাওয়ার আশায় আবারও আরেকটা ভুল করবে?
Comments
Sheikh Atique
2 months agoআওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে কিছু সম্পৃক্ত করে কুঠুর ভাবে ব্যবস্হা নিতে হবে ১)জেলা আওয়ামী লীগ ,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন গুলো সভাপতি সাধারন সম্পাদক এমপি,মেয়রবা বা চেয়াম্যান হতে হলে দলীয় এ পদ থেক পদত্যাগ করতে হবে। ২)কোন সভাপতি বা সাধারন সম্পাদকের স্ত্রী মহিলা এমপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি হতে পারবেন না।অর্থাৎ দলীয় আত্তীকরণ থেকে দলের নেতৃত্বের দূরে রাখতে হবে। ৩) পর পর দলের দুইবারের অধিক দলের সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক থাকতে পারিবেন না।
Hasina Akhtar Janu
2 months agoএই লেখাটা খুব ঠিক আছে। রাজনীতিতে ধামবিকতার কোন স্থান নাই। যা করার করবো মূখে কেন বলবো? আজ যে বিপর্যয় সাধারন নেতা কর্মিরাই ভুগতেছেন।আর্থিক সহযোগিতা একান্তই দরকার।সবার কাছে অনুরোধ খারাপ কথাটাও সুন্দর ভাবে বলুন। মুখই স্বর্গ মুখই নরক। কাদের ভাই সারা জীবন আওয়ামী লীগ করে শেষ মূহূর্তে যে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিলেন সেটা কোন ভাবেই পূর্ন করা সম্ভবনা। আমরা দোয়া করি নেত্রীকে বিধাতা সুস্থ সবল রাখুন। জয় বা;লা।
Leave a Comment