Post Thumbnail

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন যারা


শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একের পর এক মামলা হচ্ছে। সেসব মামলার আসামি হচ্ছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীসহ প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা সহ তাদের সমর্থনকারীও কেউ কেউ। এসব মামলায় কিছুদিন পরপরই কেউ না কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষও।  

৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পরে তাকে ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই দিনে গ্রেপ্তান দেখানো হয় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।  

সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন  

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান (দুজনই গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন) এবং সাবেক জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (১০ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে), সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (১৪ সেপ্টেম্বর, ঢাকার ইস্কাটন এলাকা), সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন (রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে), বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (২৮ আগস্ট, রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে), সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি (১৯ আগস্ট, বারিধারা এলাকা থেকে), সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর (১৫ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর বেইলী রোডের নওরতন কলোনী থেকে), সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম (২১ আগস্ট, বনশ্রী এলাকা), সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু (২৬ আগস্ট, উত্তরা এলাকা থেকে) সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন (২২ আগস্ট, গুলশান থেকে), সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন (১৬ আগষ্ট, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে), সাবেক বস্ত্র ও পাট  মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী (২৪ আগস্ট, রাজধানীর শান্তিনগরের বাসা থেকে), আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান (৫ সেপ্টেম্বর, দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে), সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে (২২ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর বারিধারা থেকে), সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (২৫ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর গুলশান থেকে), সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে (১৫ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে), সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ আসনের সাবেক এমপি সাধন চন্দ্র মজুমদারকে (৩ অক্টোবর, রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে), সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে (৬ অক্টোবর, ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে), আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে (১৪ অক্টোবর, রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানকে (১৪ অক্টোবর, রাতে ঢাকার বাসা থেকে), সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে (১৮ অক্টোবর, রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে), সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে (২০ অক্টোবর, রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে), সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলামকে (১৯ নভেম্বর, রাজধানীর উত্তরা থেকে), সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে (২৪ অক্টোবর, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে), সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে (২৭ অক্টোবর, বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে), সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদকে (২৯ অক্টোবর, রাত সাড়ে ১১টায় উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে তার নিজ বাড়ি থেকে), সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে (৩১ নভেম্বর, রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে), সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেনকে আমুকে (৬ নভেম্বর, পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে), সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় (১৯ আগস্ট, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে), সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামাল নাসের চৌধুরীকে (১ অক্টোবর, দিবাগত রাতে রাজধানী থেকে)।

সাবেক সংসদ সদস্যদের যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন  

সাবেক চিফ হুইপ ও সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ (২৪ আগস্ট, রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে), আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ (২৫ আগস্ট, রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার বাসা থেকে), ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম (১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর বংশাল থেকে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ (১৯ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে),  কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ (১৭ সেপ্টেম্বর, রাতে রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (১২ সেপ্টেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে), সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান (২৪ আগস্ট, রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে), ঠাকুরগাঁও-২ এর সাবেক সাংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনকে (১১ সেপ্টেম্বর, ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকা থেকে), বরিশাল-২ আসনের এমপি মো. শাহে আলম তালুকদার (১৫ সেপ্টেম্বর), সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরি (৩০ সেপ্টেম্বর, মৌলভীবাজার থেকে), গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি (অক্টোবর, দিবাগত রাতে তাকে ধানমণ্ডি থেকে), সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব (১ অক্টোবর, রাজধানীর গুলশান থেকে), লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়াল (২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কলাবাগান এলাকার একটি অফিস থেকে), ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ (৩০ সেপ্টেম্বর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে), নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী (১ অক্টোবর, দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের খুলশি থেকে), খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে (১ অক্টোবর, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে), কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফকে (১ অক্টোবর, রাজধানীর মিরপুর থেকে), ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে (২ অক্টোবর, দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকা থেকে), সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি ড. ইঞ্জিনিয়ার মাসুদা সিদ্দিক রোজীকে (২ অক্টোবর, মধ্যরাতের পর রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার নিজ বাসা থেকে), সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে (৪ অক্টোবর, বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে), রাজশাহী-৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদকে (৬ অক্টোবর, রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) (৬ অক্টোবর, রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে), সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মহিবুর রহমান মানিক ওরফে বোমা মানিককে (৮ অক্টোবর, রাত ৯টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে), কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনকে (৯ অক্টোবর, রাজধানীর উত্তরা থেকে), ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি রহিম উল্লাহকে (১২ অক্টোবর, রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে),  খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ মো. রশীদুজ্জামানকে (১৬ অক্টোবর, ভোরে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর এলাকা থেকে), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে (১৬ অক্টোবর, সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকা থেকে), সাবেক সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) ২১ অক্টোবর, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং  বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে (১১ নভেম্বর, উত্তরা থেকে), নরসিংদী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে (১১ নভেম্বর, রাজধানীর আসাদগেট এলাকার পিপলস ইউনিভার্সিটি থেকে), সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরীকে (১১ নভেম্বর, রাজধানীর উত্তরা থেকে), পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার অন্যতম সহযোগী মো. মোশারাত হাসান বেনুকে (১১ নভেম্বর, পল্লবী থানার ১২ নম্বর সেকশনের ই-ব্লক এলাকায় থেকে, সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরীকে (১২ নভেম্বর, রাজধানীর উত্তরা থেকে),  ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে (১৩ নভেম্বর, রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে), ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে (১৩ নভেম্বর, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে), তাঁতী লীগ নেতা মো. ইকবাল হোসেনকে (১৪ নভেম্বর, রাজধানীর রূপনগর থানার ৬ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর বাসা থেকে),  ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর কাঠালিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমরকে (২০ নভেম্বর, ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে)।  

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সহ তৃণমূলের যারা গ্রেপ্তার  

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনকে (২১ আগস্ট, গুলশান এলাকা থেকে), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি (১৩ সেপ্টেম্বর, গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে), সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে শিরহান শরীফ তমালকে (৬ সেপ্টেম্বর, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে), সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরির স্বামী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাবু তালুকদার (৩০ সেপ্টেম্বর, মৌলভীবাজার থেকে), কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দকে (৩ অক্টোবর, মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে), যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মিলনকে (৩ অক্টোবর, রাজধানীর গুলিস্তান এলাকা থেকে), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আজিজুল হক এবং সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. ওবায়দুল ইসলাম রানা (৩ অক্টোবর, তাদের দুজনকেই বিকেলে খিলগাঁও এলাকা থেকে), যুবলীগ নেতা মো. আনোয়ারুল ইসলামকে (১ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৬টায় কলাবাগান থানার ৩২ লেক সার্কাস (এনা কিংডম) এলাকা থেকে), রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে (৪ অক্টোবর, রাতে অভিযান চালিয়ে নওগাঁ থেকে), পল্লবী থানার ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ও ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর হোসেন জনিকে (৫ অক্টোবর, রাতে পল্লবী থানা এলাকা থেকে), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি শাকিল হোসেনকে (৫ অক্টোবর, রাতে হাজারীবাগ থেকে)।   

ব্যবসায়ী যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন  

বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে (১ অক্টোবর, দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে), বসুন্ধরা গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর আদনান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরকে (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে)।

আমলাদের মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন  

নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (১ অক্টোবর, গুলশান থেকে), সাবেক ক্রীড়া সচিব মেজবাহ (১ অক্টোবর, রাজধানী ঢাকা থেকে), সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার (৬ অক্টোবর, রাতে ঢাকা থেকে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকে (৬ অক্টোবর, বনানী থেকে), ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রকে (১৫ অক্টোবর, রাতে), সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদকে (২৩ অক্টোবর, বিকেলে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনকে (২৪ অক্টোবর, চট্টগ্রাম থেকে)।  

পুলিশের যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন  

সাবেক দুই আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এ কে এম শহীদুল হক (৩ সেপ্টেম্বর)। এর মধ্যে শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া (১১ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর মহাখালী থেকে), বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মশিউর রহমানকে (১৯ সেপ্টেম্বর, রাতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকা থেকে), ডিবির ডিসি মশিউর রহমান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহিল কাফী, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন শিপন ও এসি ইফতেখার, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (সুপারনিউমারারি উপকমিশনার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জুয়েল রানা ও শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দীন, বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন।  

বিভিন্ন পেশাজীবীর যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন  

নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল (২১ আগস্ট), আলোচিত সেনা কর্মকর্তা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (১৫ আগস্ট, খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (২৩ আগস্ট, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা), একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির ((১৬ সেপ্টেম্বর, রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহকারী অধ্যাপক ডা. হাসানুল হক নিপুণ (১৮ সেপ্টেমর গাজীপুর থেকে), ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোস্তাক আহমেদ, বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন ‘গান বাংলার' ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসকে (৩ নভেম্বর, উত্তরার বাসার এলাকা থেকে), জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি শমী কায়সারকে (৫ নভেম্বর, উত্তরা থেকে), দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান (১৬ নভেম্বর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে),  

অন্যান্য যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন  

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে (১৭ অক্টোবর, বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে) গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তারের তালিকায় ৯০ পুলিশ কর্মকর্তা!  

গ্রেপ্তারের তালিকার মধ্যে ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, ট্যুরিস্ট পুলিশের সাবেক প্রধান মীর রেজাউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ (তাকে ১০ বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল), ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক কমিশনার গোলাম ফারুক, সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সিটিটিসির সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মনিরুজ্জামান, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল, ঢাকার সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহিদুর রহমান, ওয়ারী জোনের সাবেক এডিসি এসএম শামীম, উত্তরা বিভাগের এডিসি তৌহিদুল ইসলাম, ট্রাফিক ওয়ারীর সাবেক সহকারী কমিশনার তানজিল আহমেদ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উত্তরার সহকারী পুলিশ সুপার (চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানার সাবেক ওসি) রফিকুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, ডিবির সাবেক যুগ্ম কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান, রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল, আরপিএমপির উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, আরপিএমপি ডিবির উপপুলিশ কমিশনার শাহ নূর আলম, ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার মফিজুর রহমান, আরপিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান ও আল ইমরান হোসেন এবং সিরাজগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার রানা, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানার সাবেক ওসি মাহফুজার রহমান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক খাদেমুল বাহার বিন আবেদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সার্কেলের পরিদর্শক ইউসুফ হাসান, ডিএমপির সাবেক পরিদর্শক জাকির হোসাইন, ঢাকা জেলা পুলিশের পরিদর্শক আরাফাত হোসেন প্রমুখ।  

পুলিশের কার বিরুদ্ধে কত মামলা  

সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বিরুদ্ধে করা হয়েছে সাতটি মামলা। অপর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হয়েছে তিনটি মামলা। ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে হয়েছে একটি মামলা। এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঢাকায় হয়েছে ১১টি মামলা। সিআইডির মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে হয়েছে দুটি মামলা। র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে পাঁচটি। পুলিশ সদর দপ্তরের বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া অতিরিক্ত আইজি লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে একটি। সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে হয়েছে দুটি, পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি জামিল আহমেদের বিরুদ্ধে একটি, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুটি, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি, সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে পাঁচটি, সাবেক ডিআইজি রিপন সরদার ও খালিদ হাসানের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা হয়েছে। অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের বিরুদ্ধে পাঁচটি ও ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আটটি মামলা হয়েছে।  

মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটক নিয়ে ধূম্রজাল  

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটক করা হয়েছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি। ফলে আটকের বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।    বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আলী আরাফাতকে আটক করা হয়। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ডিএমপির গুলশান বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আটকের বিষয়ে তথ্য নেই বলে জানান।

 


Comments

Leave a Comment


Related Articles