‘আসিতেছে’ নতুন আওয়ামী লীগ!
সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে। আইনের দৃষ্টিতে এখন পালাতক। কিন্তু সেই শিরীন শারমিন চেীধুরী সাধারণ পাসপোর্ট করে ফেললেন। সাধারণ পাসপোর্ট করার জন্য তাকে পাসপোর্ট অফিসেও যেতে হয়নি। এখন ই-পাসপোর্ট করতে গেলে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয়। সেখানে আইরিশ এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়াটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু শিরীন শারমিন চৌধুরীর ক্ষেত্রে অদ্ভূত ব্যতিক্রম হল। এক ভৌতিক ঠিকানায় তার বাসায় গিয়ে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইরিশ নেয়া হল।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৪ আগস্ট স্পিকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগেই অবশ্য তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে। তাই ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ছিলেন পাসপোর্টহীন। আওয়ামী লীগের বহু সাবেক মন্ত্রী-এমপি পাসপোর্ট এখন পর্যন্ত পাচ্ছেন না। পাসপোর্ট পাওয়া তো দূরে কথা তাঁদের পালিয়ে বাঁচার উপায় নেই। এর রকম একটি সময় সাবেক স্পিকারের ই-পাসপোর্ট পাওয়া একটা ম্যাজিক বটে।
শুধু এই ঘটনা নয়, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ-এর পুত্র সোহেল তাজ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে এক পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করেছিলেন। সেই পদযাত্রা কর্মসূচিতে কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে তিনি যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তিনি তাঁর দাবি দাওয়া গুলো পৌঁছে দিতেও সক্ষম হন। এখানেই ঘটনা শেষ নয়। প্রধান উপদেষ্টা সোহেল তাজের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপও করেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন। একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে তিনি ছাড়া পেয়ে যান। যার জামিন নিয়ে খোদ বিএনপির পক্ষ থেকেও আপত্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আপত্তি টিকেনি। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় সাবের হোসনে চৌধুরীকে জামিন দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপ ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে মুক্ত করা হবে-এমন কথা অনেকে বিশ্বাস করতে চান না। এই তিনটি ঘটনা আপাতত বিছিন্ন। একটির সাথে আরেকটি সম্পর্কহীন। কিন্তু একটু রাজনৈতিক চোখ দিয়ে দেখলে তিনটি ঘটনার মধ্যে এক অদ্ভূত মিল খুঁজে পাওয়া যেতেই পারে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা সাড়ে ১৫ বছর দেশ পরিচালনা করার পর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়। ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অন্যতম প্রধান যে দাবিটি উত্থাপিত হয়েছে তা হল আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতি করতে না দেয়া। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। কাজেই তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার বাংলাদেশের মাটিতে নেই। জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবী করা হয়। এটি যে শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাই বলছেন- এমনটি নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও এই দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডনভিত্তিক একটি প্রভাবশালী দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ফ্যাসিবাদী হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে কোন জায়গা হবে না। জায়ামাতের পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে না দেয়ার ব্যাপারে সোচ্চার বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে, কি হবে না সেটি নিয়ে ধূম্রজাল আছে বটে, তবে ইতিমধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সরকার দ্বিধাদ্বন্দ্বে বলেই আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হয়।
প্রশ্ন হল, আগামী যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হবে সেই সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কি অংশগ্রহণ করতে পারবে? আওয়ামী লীগকে যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করতে দেয়া হয় কিংবা ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসাবে তাকে রাজনৈতিক দল হিসাবে নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে তার আন্তর্জাতিক প্রভাব কি হবে- সেটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় বটে। কারণ এর আগে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রধান সমস্যা ছিল নির্বাচনগুলো অংশগ্রহণমূলক হয়নি। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও রাতে ভোটের মাধ্যমে একটি বানোয়াট ফলাফল দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর ২০২৪ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে একটি নির্বাচন করা হয়, যে নির্বাচনে বিএনপি সহ অনেক বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। এ কারণেই এই নির্বাচনটিও অংশগ্রহণমূলক নয় বলে দাবী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের। এখন আগামীতে যে নির্বাচন হবে, তাতে যদি আওয়ামী লীগকে বাদ দেয়া হয় তাহলে কি সেই নির্বাচন আন্তর্জাতিক ভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? এখন পশ্চিমা দেশ গুলো ড. ইউনূসের প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি ও সমর্থন দেখাচ্ছে। কিন্তু এই সহানুভূতি ও সমর্থন শেষ পর্যন্ত কত দিন থাকবে? আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, কতটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে সেটি নিয়ে অনেকেই গবেষণা করছেন। আর এ ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন যে, আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল যার বাংলাদেশে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ জনসমর্থন রয়েছে, তাঁদেরকে বাদ দিয়ে একটি নির্বাচন শেষ বিচারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পরতেও পারে। এ কারণেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, না করা নিয়ে সরকারের ভেতর এক ধরনের সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে একেক সময় একেক রকম কথা বলা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবীতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। আবার সেই রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়। এই রকম নানা দোলাচলের মধ্যেই ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাসপোর্ট, সোহেল তাজের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার টেলি আলাপ এবং সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন রাজনীতিতে নতুন গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে। রাজনীতিতে কি একটি নতুন মেরুকরণের বাতাস বইতে শুরু করেছে?
অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছন যে, সরকার নতুন এক আওয়ামী লীগকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ভূমিষ্ঠ করতে চায়। এই নতুন আওয়ামী লীগ এক দিকে যেমন সরকারের আজ্ঞাবহ হবে, তেমনি শেখ হাসিনা মুক্ত রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। পাশাপাশি এই আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপকর্মের ব্যাপারে ‘রাজসাক্ষী’ হিসাবে কাজ করবে। এই রকম আওয়ামী লীগে বাছাই করা হচ্ছে এমন সব ব্যক্তিদেরকে যারা অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের। এমন কি যারা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন তাদেরকেও আওয়ামী লীগের ভেতর ভেড়ানোর চিন্তা ভাবনা বা পরিকল্পনা আছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যদিও এসবই এখনো গুঞ্জন, গুজব এবং কল্পনা প্রসূত ধারণা মাত্র বলেই প্রতীয়মান হয়। কিন্তু রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কোন কথা নেই। আর কিছু কিছু ঘটনা ইঙ্গিত করছে নতুন আওয়ামী লীগ গঠনে একটা নীরব প্রক্রিয়া সবার অলক্ষ্যেই সংগঠিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাসহ বতর্মান সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রচণ্ড নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আওয়ামী লীগের চেয়েও তাদের নেতিবাচক ধারণা আছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের মাধ্যমেও আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে নানা রকম অভিযোগ অনুযোগ রয়েছে। এসব কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা তা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু সাধারণ মানুষ মনে করে এই গত সাড়ে ১৫ বছরে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এ প্রচারের ক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যমে এবং ইদানিং মূলধারা গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এরকম বাস্তবতার আওয়ামী লীগকে নতুন মোড়কে সামনে আনার বিকল্প নেই বলেই সরকারের কোন কোন মহল ধারণা করতে পারেন। সেই ধারণা থেকেই একটি নতুন আওয়ামী লীগের ফর্মুলা উদ্ভাবনের কাজ চললে তা অস্বাভাবিক কিছু হবে না। কারণ শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন করা গণতন্ত্রকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত ‘ক্লিন ইমেজ’ হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত, তাঁদের প্রতি সরকার এক ধরনের সহানুভূতি এবং পক্ষপাত দেখাচ্ছে। শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাসপোর্ট, সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন কিংবা সোহেল তাজের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কথোপকথন তারই ইঙ্গিত বহন করে৷ কিন্তু প্রশ্ন হল যে, এরকম চাপানো আওয়ামী লীগ গঠন বা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন আওয়ামী লীগ সৃষ্টির প্রভাব রাজনীতিতে কী পড়বে? আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলের অসংখ্য ভুল ত্রুটি আছে। এখানে দুর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী, অনুপ্রবেশকারী, মতলববাজ এবং দুর্বৃত্তরা বাসা বেঁধেছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের কাছাকাছি ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেই নানা রকম আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগের কর্মীরা এই সমস্ত দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে অত্যন্ত সোচ্চার। তাঁরা মনে করে, আওয়ামী লীগের এই পরিণতির জন্য দুর্নীতিবাজ এই সমস্ত নেতারাই দায়ী। এটা যেমন সত্যি, পাশাপাশি এটাও সত্যি যে, এই সমস্ত দুর্নীতি, অনিয়ম সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের প্রায় সকল কর্মী শেখ হাসিনার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানায় এখনো। তাঁরা শেখ হাসিনার বিকল্প কোন নেতৃত্ব ভাবতে পারে না। শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে বাদ দিয়ে যদি কোন আওয়ামী লীগ গঠনের চেষ্টা হয়, সেটাকে তাঁরা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখতে দেখবে। ইতিমধ্যে সোহেল তাজের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল তাজ ব্যাপক ট্রলের শিকার হচ্ছেন।
সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন নিয়েও কর্মীদের মধ্যে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে। কাজেই শেখ হাসিনাকে বা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে বাদ দিয়ে যদি নতুন আওয়ামী লীগ গঠন করা হয় সেটি আওয়ামী লীগের আপামর নেতাকর্মীরা কখনো ইতিবাচক ভাবে নেবে না এবং সেটি খুব একটা সফল প্রক্রিয়া হবে কি না তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ রয়েছে। এর আগেও ড. কামাল হোসেন ১৯৯১ সালে নির্বাচনের পর গণফোরাম বলে একটি বিকল্প আওয়ামী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে রাজনৈতিক সংগঠন করে খুব একটা হালে পানি পাননি। এখন শিরীন শারমিন, সোহেল তাজ কিংবা সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত হবে কি না বা হলেও এটি জনগণের কাছে কীভাবে উপস্থাপিত হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
অতীতে দেখা গেছে যে বিভিন্ন সময়ে মাইনাস ফর্মুলা করে আওয়ামী লীগ বা বিএনপিকে আলাদা করা হয়েছে। এক এগারোর সময় আলাদা আওয়ামী লীগ, আলাদা বিএনপি করার সক্রিয় চেষ্টা দৃশ্যমান ছিলো কিন্তু এগুলো শেষ পর্যন্ত হিতে বিপরীত হয়। বাংলাদেশের মানুষ দ্রুত অতীত ভুলে যায়। বিএনপি আমলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কী হয়েছে তা মানুষ এখন ভুলে গেছে। আবার আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে কি করেছে সেটাও হয়তো কয়েকদিন পরে ভুলে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ নেতার পূজা করেন এবং নেতার মধ্যেই দলকে খুঁজেন। কাজেই শেষ পর্যন্ত নতুন আওয়ামী লীগ আসবে কি না এবং এ ধরনের পরিকল্পনা যদি কেউ গ্রহণ করে সেই পরিকল্পনা আত্মঘাতী হবে কি না সেটা আগে ভেবে দেখা উচিত বলেই মনে হয়।
Comments
এহসানুল হক ভূঁইয়া
2 months agoএধরণের নূতন একটি আওয়ামী লীগ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ খুবই সম্ভব।আপনার সমীকরণও সঠিক মনে করার যুক্তি আছে।আটক হওয়ার জন্য সাবের হোসেনের দেশে ফেরা,আটকের পর অবিলম্বে জামিন লাাভ, সোহেল তাজের উন্মত্ততা,বিশেষ উপায়ে পাসপোর্ট পাওয়া ইত্যাদি সেরকম কিছুই নির্দেশ করে।এর আগের চেষ্টাগুলো এদেশেে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, পাশের দেশে কংগ্রেস ও নেহেরু পরিবারে তাই ঘটেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আলোচ্য তিনজনের কারোরই পাশ করার কোন সম্ভাবনা দেখা যায়না। বাংলাদেশে এউদ্যোগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে সন্দেহ নেই। নানা ভুলত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও আওয়ামী লীগ, এমনকি জাতীয় ক্ষেত্রেও বস্তুত শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই বলেই প্রতীয়মান হয়। তাঁর পথ রুদ্ধ করে দেয়া শেষ পর্যন্ত সম্ভব হবে না
M.U.Ahmed
2 months agoMost Probably USA & India may bar to Recognise Next Time N.Election Processes, if big-Partyless Election Result is Declared it must Not be Advocated by those Countries! Bangladesh are going Multiples of Hazards & NO body Knows what FATES are Waiting in the Areana of Politics after 3/4 Months. However, Your Analytical Writings are NOT Your Imaginations Only. 50% Percent Possibilities might be Occurred if the Wheather is Cool ! Thanks for Sharing.Adieu.
Leave a Comment